অনুপ্রবেশকারী ও বিভিন্ন সময় দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া বিদ্রোহীদের দলীয় পদ না দেওয়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটিতে তারা যাতে পদ না পায়, সে বিষয়ে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের ব্যক্তিগত অনুসারীদের কমিটিতে প্রাধান্য দেওয়া যাবে না। এসব তদারকি করতে আটটি বিভাগীয় কমিটি করা হয়েছে।
শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের তিনজন কেন্দ্রীয় নেতা প্রথম আলোকে এটি নিশ্চিত করেছেন। করোনা পরিস্থিতির জন্য প্রায় সাত মাসের মাথায় দলের নির্বাহী কমিটির সভা হলো। জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কমিটি নিয়ে অনিয়মসহ তৃণমূলে সংগঠনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন সাংগঠনিক সম্পাদকেরা।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সীমিত পরিসরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তাই কেন্দ্রীয় কমিটির সবাইকে ডাকা হয়নি সভায়। সভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর করোনায় নিহতদের শোকপ্রস্তাব অনুমোদিত হয়। ডিসেম্বর পর্যন্ত সব জাতীয় দিবসে দলীয় কর্মসূচি, সাংগঠনিক কমিটি ও করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সবাই সতর্ক থেকে ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সরকারি দলের তিন কেন্দ্রীয় নেতা জানান, আলোচনার অধিকাংশই ছিল কমিটি নিয়ে। কমিটির বিষয়ে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। স্থানীয় সাংসদ বা দায়িত্বশীল নেতাদের প্রভাবে কমিটি করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিভিন্ন জেলা কমিটি সম্পর্কে পাওয়া তথ্যের ফাইল নিয়ে আসেন বৈঠকে। জেলা কমিটি নিয়ে অনিয়মের ধরন জানান বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের। সম্মেলন ছাড়া তৃণমূলে কোনো কমিটি না করতেও নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় প্রধান। আর বিদ্রোহীদের মধ্যে যারা পরে আবেদন করে দলের ক্ষমা পেয়েছেন, তাদের পদ দিলেও বড় দায়িত্ব দিতে না করা হয়েছে