চীনের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম অত্যাধুনিক ‘শৌর্য’ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করল ভারত। শনিবার (০৩ অক্টোবর) ওডিশার উপকূলে এই মিসাইলের সফল পরীক্ষা করা হয়। নতুন ভার্সনের পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এই মিসাইল ভারতীয় সেনার মনোবল অনেকটা বাড়িয়ে দেবে, তা বলাই বাহুল্য।
দুপুর ১২.৩০ মিনিটে ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপণযোগ্য কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্রটি ওডিশার এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জের (আইটিআর) লঞ্চ কমপ্লেক্স থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, পারমাণবিক অস্ত্রবহনে সক্ষম শৌর্য মিসাইলের এই নতুন সংস্করণটির পাল্লা প্রায় ১০০০ কিলোমিটার। এবং এটি ২০০ থেকে ১০০০ কিলোগ্রাম ওজনের পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। ভারতের ‘স্ট্র্যাটেজিক মিসাইল ফোর্স’-এ শামিল হবে এই হাইপারসোনিক অর্থাৎ শব্দের চেয়েও দ্রুত এই ক্ষেপণাস্ত্র। ১০ মিটার দীর্ঘ এবং ৭৪ সেন্টিমিটার ব্যাসের ক্ষেপণাস্ত্রটির ওজন ৬২০০ কেজি।
শত্রুপক্ষের আণবিক অস্ত্রভাণ্ডার তথা সম্ভাব্য পারমাণবিক হামলার পালটা জবাব দিতে ‘স্ট্র্যাটেজিক মিসাইল ফোর্স’ গড়ে তুলেছে ভারত। এতে শৌর্য ছাড়াও রয়েছে আণবিক অস্ত্রবহনে সক্ষম অগ্নি মিসাইল ও অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র।
মিসাইল প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা আরো জোরদার করেছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হওয়ার ডাক দেওয়ায় কাজের গতি বাড়িয়ে তুলেছে প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য, গত বুধবার বর্ধিত পাল্লার সুপারসনিক ব্রহ্মস ক্রুজ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করে ভারত। রাশিয়া ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রটি এবার ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম। ডিআরডিওর ‘পিজে-১০’ প্রকল্পের আওতায় এই পরীক্ষা করা হয়।
সূত্র : ইকোনমিক টাইমস।