হেপাটাইটিস ‘সি’ ভাইরাস শনাক্ত করার স্বীকৃতি হিসেবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন দুই মার্কিন ও এক ব্রিটিশ বিজ্ঞানী। তাঁদের গবেষণাকর্ম রক্তে জন্ম নেওয়া হেপাটাইটিসের অন্যতম উৎস ব্যাখ্যা করতে সহায়তা করবে।
নোবেল কমিটি বলছে, এই তিন বিজ্ঞানীর যৌথ গবেষণার ফলে রক্তের নানা পরীক্ষা এবং নতুন ওষুধ আবিষ্কার সম্ভব হবে। যা লাখো মানুষের প্রাণ বাঁচাবে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত তিনজন হলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভি জে অলটার ও চার্লস এম রাইস এবং ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত মাইকেল হটন। আজ সোমবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চলতি বছরের চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেলবিজয়ী হিসেবে তাঁদের নাম ঘোষণা করা হয়। নোবেল বিজয়ীরা স্বীকৃতির পাশাপাশি অর্থপুরস্কার হিসেবে এক কোটি সুইডিশ ক্রোনা (৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা) পাবেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়।
নোবেল ঘোষণা পর এখন পর্যন্ত বিজয়ীদের মধ্যে হার্ভি জে অলটার এবং চার্লস এম রাইসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছেন নোবেল কমিটির সচিব থমাস পার্লম্যান। তিনি বলেন, ‘আমি হয়তো তাঁদের ঘুম থেকে ডেকে তুলেছি। কারণ কয়েকবার ফোন করার পর যোগাযোগ সম্ভব হয়েছে। তবে শোনার পর তাঁরা খুব অবাক ও খুশি হয়েছেন। আগামীকাল ৬ অক্টোবর পদার্থবিজ্ঞানে, ৭ অক্টোবর রসায়নে, ৮ অক্টোবর সাহিত্যে, ৯ অক্টোবর শান্তিতে এবং ১২ অক্টোবর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী নাম ঘোষণা করা হবে।
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী এবার নোবেল পুরস্কারজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হলো। তবে এখানেও করোনা মহামারির প্রভাব পড়েছে। অন্যান্য বছর যেমন ডিসেম্বরে জাঁকালো আয়োজনে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়, এবার তেমনটা হচ্ছে না। আগামী বছরের মধ্যেই করোনা মহামারি শেষ হবে বলে আশা করছে নোবেল কমিটি। আর তাই ২০২১ সালের নোবেল বিজয়ীদের সঙ্গে চলতি বছরের বিজয়ীদের পুরস্কারপ্রাপ্তি উদ্যাপনের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
১৯০১ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত চিকিৎসাবিজ্ঞানে ১১০টি নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। এঁদের ১২ জন নারী। চিকিৎসাবিজ্ঞানে পুরস্কারজয়ীদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী ফ্রেডেরিক জি ব্যানটিং। ১৯২৩ সালে পুরস্কার জয়ের সময় তাঁর বয়স ছিল ৩২ বছর। আর ১৯৬৬ সালে ৮৭ বছরে পুরস্কারটি পান পেটন রউস। তিনি সবচেয়ে বেশি বয়সে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পান।