সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের একটা সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরীসহ বাংলাদেশের ২৮ গবেষক ও বিজ্ঞানী।
জিন বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় এক গবেষণা সংস্থার বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবক বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন। এই প্রতিষ্ঠানটি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিরোধী প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কাজে নিয়োজিত। তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি ছিল উদ্ভিদের FIS জিন চিহ্নিত করা।
তালিকায় আরও আছেন বাংলাদেশের আইসিডিডিআর,বির ইমিউনোলজি বিভাগের প্রধান ফেরদৌসী কাদরী, যুক্তরাজ্যের ডে মন্টফোর্ট ইউনিভার্সিটির বায়োমেডিক্যাল ফিজিকস অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক পারভেজ হ্যারিস, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের মলিকুলার বায়োসায়েন্সের অধ্যাপক এনামুল হক এবং ঢাকার ইউডা ইউনিভার্সির্টির লাইফ সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ। আবেদ চৌধুরীসহ তাঁরা বায়োটেকনোলজিস্টদের ওয়েবভিত্তিক ফোরাম গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশি বায়োটেকনোলজি’স (জিএনওবিবির)-এর সদস্য। এছাড়াও সারা বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত আরও ২৩ বাংলাদেশি এই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের ১ লাখ ৫৯ হাজার ৬৮৩ জন বিজ্ঞানীর মধ্য থেকে প্রথম দুই শতাংশ বিজ্ঞানীর একটা ছোট্ট তালিকা করেছে। এই তালিকায় সারা বিশ্বের ৩ হাজার ১ শ ১৩২ জন বিজ্ঞানী জায়গা করে নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের মোট ২৮ জন বিজ্ঞানী।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞানীদের র্যাংকিং করেছেন তাঁদের গবেষণা পত্রের সাইটেশনের ভিত্তিতে। এই সাইটশনটা এমন, একজন বিজ্ঞানী যখন নতুন কোনো গবেষণাপত্র লেখেন, সেখানে রেফারেন্স হিসেবে বিভিন্ন বিজ্ঞানীর গবেষণা পত্রের উল্লেখ করেন। এটাকেই আসলে রেফারেন্স হিসেবে যে পেপারটির উল্লেখ্য করা হচ্ছে, সেটার সাইটেশন বলে।
কোনো একটা গবেষণা পত্র কত ভালো সেটার মানদণ্ড হলো এই সাইটেশন। অর্থাৎ অন্য বিজ্ঞানীরা একটা পেপারকে যত বেশিবার সাইটেশন করবেন, সেটা তত ভালো পেপার বলে গণ্য হবে।
বিশ্বজুড়ে প্রকাশিত এ সব গবেষণাপত্রের রেফারেন্সগুলো বিভিন্ন সংগঠন অনলাইন ডাটাবেজে সংগ্রহ করে। এগুলিকে সামগ্রিকভাবে সাইটেশন ইনডেক্স বলা হয়। গবেষকরা নতুন কোনো গবেষণার কাজ শুরু করার সময় যে বিষয়ে তাঁরা কাজ করবেন, সে বিষয়ে আগে অন্য গবেষকরা কী কী কাজ করেছেন তা খুঁজে বের করার জন্য এ সাইটেশন ইনডেক্স ব্যবহার করেন।