দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার বিপজ্জনক রূপ নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীতে পাঁচটি ফিল্ড হাসপাতাল করার ঘোষণা দিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া। শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেশন সেন্টার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সচিব বলেন, করোনাআক্রান্ত রোগীর সেবা নিশ্চিতে আমরা সরকারির পাশাপাশি বেসরকার পর্যায়ে অনেক শয্যা বৃদ্ধি করেছি। ঢাকার বেসরকারি ১০টি হাসপাতালে ১ হাজার ৫০১ শয্যা বাড়ানো হয়েছে। ঢাকার ডিএসসিসি মার্কেটে সবচেয়ে বড় করোনা হাসপতাল তৈরি করা হয়েছে। এখানে আইসিইউ ১২০০ শয্যা রাখা হয়েছে। ফিল্ড হাসপাতাল আমরা বড় আকারে শুরু করব। শুরু হলেই আপনার দেখতে পারবেন। আশা করি স্বল্প সময়ে মধ্যে এই হাসপাতালগুলো চালু হবে।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের আইসিইউ সংকট নেই। রাজধানীতে আমাদের যে কভিড ডেডিকেটেড সরকারি হাসপাতালগুলো রয়েছে, অধিকাংশতেই পর্যাপ্ত আইসিইউ রয়েছে। আমাদের ডিএনসিসি তো দেশের সবচেয়ে বড় কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল, এখানে সর্বোচ্চ সংখ্যক আইসিইউ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাইরে না করে ঢাকায় ফিল্ড হাসপাতাল কেন ঢাকায় হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মূহুর্তে আমাদের ঢাকাতে এই হাসপাতালে কোনো প্রয়োজন নেই। মানুষিকভাবে রেডি থাকি।
জানা গেছে, করোনার প্রথম ঢেউয়ে সিংহভাগ রোগী ছিল ঢাকায়। মৃত্যুরও বেশিরভাগই হয়েছে রাজধানীতে। সে সময় একটি ফিল্ড হাসপাতাল করা হয়। তবে দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার পর রোগীর ৫০ শতাংশ এখন গ্রাম এলাকায়। আর মৃত্যুও হচ্ছে রাজধানীর বাইরে বেশি। মফস্বলের হাসপাতালগুলোতে রোগীর ঠাঁই না পাওয়ার তথ্যও আসছে গণমাধ্যমে। এর আগে গত বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছিল, করোনায় সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে প্রয়োজনে ফিল্ড হাসপাতাল করা হবে। একইসঙ্গে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের শয্যা বাড়ানো ও জনবল পুনর্বণ্টন করা হবে।