ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা নগরের পদুয়ার বাজার (রামপুর) এলাকায় একটি ইউলুপ ও বেলতলী থেকে সদর দক্ষিণ উপজেলা পর্যন্ত তিনটি স্থানে আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।গত বুধবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কুমিল্লা থেকে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ঢাকাগামী এবং কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার যাত্রীদের বিড়ম্বনা অনেকাংশে কমে যাবে। একই সঙ্গে মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা কমবে বলে আশা করছেন তাঁরা।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী রেজা-ই রাব্বী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হওয়ার পর থেকে মহাসড়কের এক পাশ থেকে যাত্রীদের অন্য পাশে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। যানবাহনগুলোও ঝুঁকি নিয়ে সড়কের এ পাশ থেকে ও পাশে যায়। ফলে মাঝেমধ্যেই এখানে দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়।
এ অবস্থায় মহাসড়কের পদুয়ার বাজার এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কার্যালয়ের অদূরে ইন্টারসেকশনে একটি ইউলুপ এবং পথচারীদের পারাপারের জন্য পদুয়ার বাজার, সদর দক্ষিণ উপজেলা ফটকের সামনে ও বেলতলী এলাকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারে তিনটি আন্ডারপাস নির্মাণকাজ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে । মোট ৫৬৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানা গেছে।বিজ্ঞাপন
পদুয়ার বাজার এলাকার আন্ডারপাস পুশ বক্স প্রযুক্তিতে নির্মাণ করা হবে। এতে শুধু পথচারী পারাপার করবে। এই আন্ডারপাসের দৈর্ঘ্য ৭৫ দশমিক ৫৪ মিটার ও প্রস্থ ৫ মিটার হবে।
জানা গেছে, র্যাম্পসহ ইউলুপের দৈর্ঘ্য হবে ২ হাজার ১৪২ দশমিক ৭০ মিটার ও প্রস্থ ৭ দশমিক ৩০ মিটার। এর মধ্যে নোয়াখালী থেকে কুমিল্লা অভিমুখে অর্থাৎ ঢাকা প্রান্তে ১ হাজার ৪৩২ দশমিক ৯৬ মিটার এবং কুমিল্লা থেকে নোয়াখালী অভিমুখে অর্থাৎ চট্টগ্রাম প্রান্তে ৭০৯ দশমিক ৭৪ মিটার থাকবে।
পদুয়ার বাজার এলাকার আন্ডারপাস পুশ বক্স প্রযুক্তিতে নির্মাণ করা হবে। এতে শুধু পথচারী পারাপার করবে। এই আন্ডারপাসের দৈর্ঘ্য ৭৫ দশমিক ৫৪ মিটার ও প্রস্থ ৫ মিটার হবে। এদিকে সদর দক্ষিণ উপজেলা ফটকের আন্ডারপাস ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বার বেলতলী এলাকার আন্ডারপাসটি দৈর্ঘ্য ৪৮ মিটার ও প্রস্থ ৫ দশমিক ৫০ মিটার করে হবে।