আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মানুষের জীবন ও জীবিকার স্বার্থে সরকার কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় আবারও কঠোর লকডাউন দেওয়া হতে পারে। গতকাল রাজধানীতে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরে এক চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং জনস্বার্থে সব স্টেকহোল্ডার ও মালিক-শ্রমিকের সহযোগিতা কামনা করছি। সড়কে চলাচলের আগে গাড়ি জীবাণুমুক্ত, পরিষ্কার করার নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, যাত্রীদের শতভাগ মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের সড়ক-মহাসড়কে এত উন্নয়নের পরও শৃঙ্খলা ফিরে না আসায় এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, যে কোনো মূল্যে সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি বলেন, সড়ক নির্মাণ করতে হবে কাজের শতভাগ গুণগত মান বিবেচনায় নিয়ে। যেসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজের মান ভালো করে না এবং একই প্রতিষ্ঠান একাধিক কাজ বাগিয়ে নেয়, সেসব প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাক লিস্ট করতে হবে। এ সময় কিছু সংখ্যক প্রকৌশলীকেও দোষারোপ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, গণটিকা কর্মসূচিতে জনগণের ব্যাপক সাড়া দেখে কান্ডজ্ঞানহীন সমালোচনা প্রকৃতপক্ষে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ‘গণহতাশার’ বহির্প্রকাশ। এ নিয়ে বিএনপিকর্মীদের চেয়ে তাদের নেতারাই বেশি হতাশাগ্রস্ত। গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে পণ্য পরিবহনের উৎসমূলে এক্সেল নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর এবং নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এবং নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ অন্যরা।