প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দিতে ২৫০টি মোবাইল ভেন্টিলেটর মেশিন উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা প্রবাসী একদল চিকিৎসক।
শনিবার রাত ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভেন্টিলেটরগুলো এসে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে এগুলো গ্রহণ করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিঞা ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে এসব ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করেছেন দেশটির আরও তিন প্রবাসী ডা. মাসুদুল হাসান, ডা. চৌধুরী হাফিজ আহসান ও মাহমুদুস শামস বাপ্পী এবং কানাডা প্রবাসী ডা. আরিফুর রহমান।
২৫০টি ভেন্টিলেটর আনার কাজে সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, পাঁচ প্রবাসী বাংলাদেশি এই পোর্টেবল ভেন্টিলেটরগুলো পাঠিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমি এই কাজে সমন্বয় করছি। ভেন্টিলেটরগুলোর কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করে এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বলেন, সাধারণত আইসিইউতে ভেন্টিলেটর বসানো থাকে। কিন্তু নতুন এসব ভেন্টিলেটর সহজে বহনযোগ্য। যে কোনো জায়গায় আমরা এগুলো ব্যবহার করতে পারব।
ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে এগুলো পাঠানো যাবে, যেখানে হয়তো আইসিইউ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না। মানুষের অনেক কাজে আসবে। কভিড চলে গেলে অন্য মুমূর্ষু রোগীর জন্যও আমরা এগুলো ব্যবহার করতে পারব। প্রতিটি ভেন্টিলেটরের দাম প্রায় ১৫ থেকে ১৬ হাজার ডলার।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, সংকটাপন্ন রোগীদের জীবন রক্ষায় পোর্টেবল ভেন্টিলেটর খুবই কার্যকর। রোগীর ফুসফুস কাজ না করলে রোগীর নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের কাজ পোর্টেবল ভেন্টিলেটর করে দেয়। এর মাধ্যমে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে এবং পুরোপুরিভাবে সেরে উঠতে রোগী হাতে কিছুটা সময় পান। নানা ধরনের ভেন্টিলেশন যন্ত্র দিয়ে এই কাজটা করা হয়।
জানা গেছে, রোগীর নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা শুরু হলে এবং দেহে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে যান্ত্রিক ভেন্টিলেটর ব্যবহার করা হয়। এটি চাপ দিয়ে ফুসফুসে বাতাস ঢোকায় এবং দেহে অপিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়। ভেন্টিলেটরে একটি হিউমিডিফায়ারও থাকে। এর কাজ হলো রোগীর দেহের তাপমাত্রার সঙ্গে মিল রেখে বাতাস এবং জলীয় বাষ্প সরবরাহ করা।