কভিড-১৯ মোকাবিলায় জরুরি সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশকে আরও ১১.৪ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির মাধ্যমে দেওয়া এই সহায়তা জীবন-রক্ষাকারী মেডিকেল সরঞ্জাম ও অক্সিজেন সরবরাহ এবং দেশজুড়ে কার্যকর কভিড-১৯ টিকা প্রচারাভিযানের জাতীয় প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশকে সাহায্য করবে। এ ছাড়াও নতুন এই সহায়তা বাংলাদেশের ভাইরাস সংক্রমণ কমানোর লক্ষ্যে নেওয়া কার্যক্রমে সাহায্য করার পাশাপাশি দেশব্যাপী ক্রমবর্ধমান রোগীদের মানসম্মত চিকিৎসা প্রদান ও সেবাযত্নের মান বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। গতকাল ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সহায়তার ঘোষণা দিয়ে রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বলেছেন, ঐতিহাসিক আমেরিকান রেসকিউ প্ল্যানের মাধ্যমে এই বর্ধিত অনুদান দেওয়া হলো। এটি বাংলাদেশকে কভিড-১৯ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের চলমান সহায়তারই অংশ। বাংলাদেশের কভিড-১৯ মোকাবিলা কার্যক্রমে সহায়তাকারী সর্ববৃহৎ দাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকা বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে বিগত পাঁচ দশক ধরে ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে কাজ করে আসছে। মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ চ্যালেঞ্জিং মুহূর্তে আমাদের অংশীদারিত্ব অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্র সরকার মহামারীর শুরু থেকে বাংলাদেশের কভিড-১৯ মোকাবিলা কার্যক্রমে সহায়তা করতে নতুন এই তহবিলসহ মোট ৯৬ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি সহায়তা দিয়েছে এবং বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশ সরকার ও অন্য অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছে। দূতাবাস জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া কভিড-১৯ সহায়তার মধ্যে ৫৫ লাখ ডোজ মডার্না টিকা এবং দেশব্যাপী জাতীয় টিকা প্রচারাভিযান কার্যক্রম পরিচালনার সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এ ছাড়াও ইউএসএআইডি, প্রতিরক্ষা বিভাগ, স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং সিডিসির মাধ্যমে বাংলাদেশকে চিকিৎসা সরঞ্জাম, ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন যন্ত্রপাতি, পালস অক্সিমিটার এবং দেশজুড়ে কর্মরত সম্মুখসারির কর্মীদের জন্য কয়েক লাখ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) প্রদান করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সহায়তায় বাংলাদেশে কভিড-১৯ রোগ পরীক্ষা করা ও রোগ মনিটরিং করার সামর্থ্য বাড়ানো, আক্রান্ত রোগীদের ব্যবস্থাপনা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের অনুশীলনগুলো জোরদার করা, দেশব্যাপী পরীক্ষাগারগুলো উন্নত করা ও সেখানে পরীক্ষা করার সামর্থ্য বৃদ্ধি এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার মধ্যে বাংলাদেশের সম্মুখসারির কর্মীদের সুরক্ষা প্রদান এবং কভিড-১৯ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার উপায়সহ এই রোগ সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা ও জ্ঞান বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।