নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ভারী যানবাহন নিয়ে আর ফেরি চলাচল করবে না বলে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
তিনি জানান, সেতুর নিচে স্রোতের চরিত্র পরিবর্তন হয়েছে। ভারী যানবাহন নিয়ে এ স্রোতের মধ্যে ফেরি নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই শুধুমাত্র হালকা যানবাহন নিয়ে এই ফেরি চলাচল করতে পারবে।
ভারী যানবাহনের নদী পারাপারের বিষয়ে তিনি জানান, বিকল্প পথে ভারী যান নিয়ে ফেরি চলবে। আজ থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
সোমবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাওয়ার সময় ‘বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর’ নামের একটি ফেরি পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনার ফেরি ‘বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর’-এর ভারপ্রাপ্ত মাস্টার কর্মকর্তা ও ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার মো. দেলোয়ারুল ইসলাম এবং হুইল সুকানী মো. আবুল কালাম আজাদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিএ)।
এর আগে গত ২৩ জুলাই নির্মাণাধীন পদ্মা বহুমুখী সেতুর ১৭ নম্বর পিলারের সঙ্গে ‘শাহজালাল’ নামে ফেরির সংঘর্ষ হয়। এতে ফেরিটির অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হন। ঘটনার পরপরই ফেরির ইনচার্জ ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার আব্দুর রহমানকে বরখাস্ত করে বিআইডব্লিউটিসি। সে সময় ঘটনা তদন্তে ওই দিনই চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিআইডব্লিউটিসি। তাদের দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিলারের সঙ্গে সংঘর্ষের পেছনে রো রো ফেরিটির ইনচার্জ মাস্টার আব্দুর রহমান খান ও সুকানির সাইফুল ইসলামের দায়িত্বহীনতা রয়েছে। ফেরি বা অন্য কোনো জলযানের সংঘর্ষ থেকে নিরাপদে রাখতে পদ্মা সেতুর পিলারগুলো রাবার দিয়ে মোড়ানোর পরামর্শও দিয়েছে ওই কমিটি।