Youth Collaboration Camp, সংক্ষেপে YCC নামেই বেশি পরিচিত। যুব সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ১১ আগস্ট, ২০২০ তারিখে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে লকডাউনে ঘরবন্দি তরুণসমাজের সৃজনী প্রতিভার চর্চা অব্যাহত রাখাসহ সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ আল নাফিস, সহ-প্রতিষ্ঠাতা এস এম হাদিউর রহমান এবং সহ-সভাপতি মাহদী রহমান তামামসহ দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ, নিবেদিতপ্রাণ মানুষদের হাত ধরে ওয়াইসিসি গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে তাদের উদ্যোগেই প্রতিষ্ঠিত হয় চ্যারিটি সংস্থা `Project Twilight’।
বিগত এক বছরে ওয়াইসিসির মোট ৪টি অনলাইন ইভেন্টে সাহিত্য-সংস্কৃতির নানাদিক (নাচ-গান, আবৃত্তি, লেখালেখি, ফটোগ্রাফি, পেইন্টিং-স্কেচ-ডিজিটাল আর্ট, সিনেমাটোগ্রাফি, কৌতুকচর্চা ইত্যাদি) সার্বজনীনভাবে তুলে ধরা হয়। প্রতিযোগীদের সাড়াও ছিল বিপুল। আন্তরিকতা, নিষ্ঠার সাথে কাজ করার মাধ্যমে স্বল্প সময়েই বাংলাদেশ, এমনকি আন্তর্জাতিক মহলেও ওয়াইসিসি পায় ব্যাপক সমাদর ও জনপ্রিয়তা।
আসন্ন ওয়াইসিসির ১ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত হতে যাচ্ছে মেগা ইভেন্ট ‘Youth Camp’, যেখানে অতিথি ও বিচারক হিসেবে যুক্ত হবেন দেশের স্বনামধন্য শিল্পী, ব্যবসায়ী, ইউটিউবার। লাইভ সেশনে আলোচনা করা হবে ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট, মার্কেটিংসহ ইন্টারেস্টিং নানা টপিক নিয়ে। প্রতিযোগিতাগুলোর বিজয়ীদের জন্য থাকছে চমৎকার সম্মাননা ও পুরস্কার।
তবে শুধু জাঁকজমকপূর্ণ ইভেন্টের মধ্যেই ওয়াইসিসির কাজ সীমাবদ্ধ থাকেনি। বরং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে তারা মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম ‘অবহেলা করোনা’ প্রজেক্ট। অনলাইন-অফলাইন দু’ভাবেই ক্যাম্পেইনটি পরিচালিত হয়। সংগঠনটির একঝাঁক প্রাণবন্ত কর্মী রাজধানী ঢাকার ব্যস্ত সড়কে ব্যানার, পোস্টার হাতে দাঁড়িয়ে কোভিড সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালান। স্বাস্থ্যের ঝুঁকি নিয়ে কোরবানির হাটে বিতরণ করেন মাস্ক-স্যানিটাইজার। কার্যক্রমটি সম্পন্ন হয়েছে আফতাবনগর ও গুলশান এলাকায়।
পবিত্র মাহে রমজানে ‘এক বেলা ইফতার’ কর্মসূচির আওতায় ২৫০টিরও বেশি হতদরিদ্র পরিবারকে ইফতার, ত্রাণ দিয়ে সাহায্য করেছে ওয়াইসিসি। দুস্থ-অসহায় মানুষদের মাঝে করোনাকালীন সহায়তা হিসেবে ত্রাণ বিতরণ, দুর্যোগ কবলিত এলাকায় রিলিফ প্রদান করা হয়। ঈদের দিনেও পারিবারিক আনন্দ-উল্লাসের পাশাপাশি পথশিশু, ছিন্নমূল মানুষদের জন্য বাজার কিনে দেয়া হয়, ক্লান্ত-শ্রান্ত মুখগুলোতে একটুখানি হাসি ফোটানোর জন্য। এভাবেই এক মহৎ উদ্যোগের মধ্য দিয়ে ভাগাভাগি করে নেয়া হয় ঈদের খুশি।
দেশ ও দশের জন্য এভাবেই নিরন্তর বহুমাত্রিক কাজ করে চলেছে ব্যতিক্রমধর্মী এ দু’টি সংস্থা। তাদের পথচলা আরো সুন্দর হোক- এটাই প্রত্যাশা।