গোলপোস্টের সামনে খানিকক্ষণ চুপচাপ বসে রইলেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের গোলরক্ষক তিতুমীর চৌধুরী। কিছুতেই মানতে পারছিলেন না! পুরোটা সময় একের পর এক চট্টগ্রাম আবাহনীর আক্রমণ ঠেকিয়ে গেছেন, ভেবেছিলেন, আর কয়েকটা সেকেন্ডও পার করে দেবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পারলেন না।
ডান প্রান্ত দিয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর আক্রমণ, রাকিব হোসেনের ক্রসটা অরক্ষিত কাউসার রাব্বি জালে পাঠিয়েই জার্সি খুলে ঊর্ধ্বশ্বাসে দিলেন দৌড়।
৯০ মিনিট পর্যন্ত ১-১ গোলে সমতায় থাকা ব্রাদার্স যোগ হওয়া সময়ে গোল খেয়ে বসল। এমন একটা গোল খেয়ে স্বাভাবিকভাবেই হতাশায় ‘পাথর’ হয়ে গেলেন গোলরক্ষক তিতুমীর।বিজ্ঞাপনবিজ্ঞাপন
অবনমন এড়ানোর জন্য প্রতিটি ম্যাচেই লড়াই করে চলেছে ব্রাদার্স। কিন্তু জয় সোনার হরিণ হয়ে উঠেছে তাদের। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আজ অন্তত ১ পয়েন্ট পেতে যাচ্ছিল গোপীবাগের দলটি। কিন্তু ডিফেন্ডারদের দুর্বলতায় সেটাও হলো না।
চট্টগ্রাম আবাহনীর মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে রক্ষণ সামলে আক্রমণে ওঠার পরিকল্পনা ছিল ব্রাদার্স কোচ রেজা পারকাসের। সেই পরিকল্পনায় একটা সময় পর্যন্ত সফল হচ্ছিল তারা। প্রথম ১৫ মিনিট আক্রমণের পর আক্রমণেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না মারুফুল হকের চট্টগ্রাম আবাহনী।