দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ। অনেকেরই অনলাইনে ক্লাস চলছে ঠিকই, কিন্তু ঠিক করে পড়াশোনা হচ্ছে না। ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কায় অবিভাবকরা। এ রকম সময়ে স্কুল খোলার কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু একই সঙ্গে করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে অনেকেরই মনে ভয় রয়েছে।
এ রকম একটা সময়ে বাড়ির খুদেকে সামলাবেন কী করে? আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভে সেই পরামর্শই দিলেন মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারঁ মতে, এই সময়ে শিশুদের নিরাপদে রাখতে তাঁদের মতো করে বোঝাতে হবে। তাঁর কথায়, ‘‘শিশুদের এ ভাবে বলতে হবে, তোমরা যখন চোখ-নাক আর মুখে হাত দেবে, তার আগে ব্যাগে যে স্যানিটাইজারটা আছে, সেটা একটু হাতে দেবে।’’ তাঁর পরামর্শ, গল্পের ছলে, মজা করে শিশুদের বোঝাতে হবে বিষয়টি। তা হলে শিশুদের মধ্যেও এমন অভ্যাস তৈরি হবে, যার ফলে ওরা নিজেদের কিছুটা সুরক্ষিত রাখতে পারবে। অনুত্তমার কথায়, ‘‘আমরা শিশুদের আতঙ্কিত করে দেব না। সতর্ক করে দেব।’’
স্কুলে বন্ধুরা খাবার ভাগ করে খায়। এখান থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এই সমস্যা সামলাতে অনুত্তমার পরামর্শ, শিশুদের শেখাতে হবে, যদি বন্ধুকে খাবারের ভাগ দিতে হয়, তা হলে যেন বন্ধুর টিফিন বক্সের ঢাকনায় চামচে করে তুলে দেয়। এক টিফিন বক্স থেকে খাবার ভাগ করে নেওয়াটা এই সময়ে বিপদ ডেকে আনতে পারে।
করোনাকালে বাড়িতে থাকতে থাকতে অনেক শিশুই অবসাদে ভুগছে। তাদের সমস্যাই বা কী করে কাটবে? অনুত্তমার পরামর্শ, ওদের বোঝাতে হবে, কেন বাড়িতে আটকে থাকতে হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘এটা গৃহবন্দি দশা নয়, এটা গৃহসুরক্ষা দশা। এটাই ভাল করে বুঝিয়ে বলতে হবে শিশুদের।’