সম্পত্তি দখল খামারের মাছ লুট হামলা-মামলায় জড়িয়ে হয়রানি!
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় এক পুলিশ সদস্য ও তার অপর দুই ভাইকে কিশোর গ্যাংয়ের হোতা, মাদক ব্যবসায়ি ও চাঁদাবাজ উল্লেখে মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার একটি পত্রিকা অফিসে এই সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সদস্য রাহেজুল আমিন বাধনের বড় ভাই প্রবাস ফেরত মৎস খামারী আশরাফ আহমেদ সুমন।
আশরাফ আহমেদ সুমন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার বাড়ি দাউদকান্দি উপজেলার বাশরা গ্রামে। তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তার ভাই রাজিব হোসেন (৩৮) সেনাবাহিনীর সদস্য, বাধন (২৬) পুলিশ সদস্য, সজিব (২৪) মৎস খামারী এবং ছোট ভাই সোহেব (২১) ঢাকার রাজউক কলেজ থেকে পাশ করে এখন আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। রাজনৈতিক, ব্যবসায়ীক বিরোধ এবং চাঁদাবাজীর প্রতিবাদ করায় স্থানীয় বিএনপি নেতা হারুন মিয়ার পরিবার তাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে আসছে। হারুন মিয়ার পুত্র ফরহাদ পুলিশের এএসআই। উর্ধ্বতন পুলিশ এক কর্মকর্তার গাড়ি চালক ফরহাদ এলাকায় অপরাধীচক্রের সমন্বয়ে বিশাল এক সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। তারা প্রভাব খাটিয়ে সম্পত্তি দখল, খামারে বিষ প্রয়োগে মৎস নিধন ও লুট, মিথ্যা তথ্যে অপপ্রচার, হামলা এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে আসছে। সন্ত্রাসী কর্তৃক হামলা-মামলার ভয়ে সুমনের বৃদ্ধ বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ও বৃদ্ধ মাতা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তানসহ তার পরিবার এবং তাদের আত্মীয়-স্বজন গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। দাউদকান্দি উপজেলা যুবলীগের সদস্য আশরাফ আহমেদ সুমন তার পরিবারের নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।