বরগুনার পাথরঘাটায় মাটির ভূগর্ভস্থ থেকে নিরাপদ পানির অনুসন্ধান করতে গিয়ে এক ধরনের গ্যাসের বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পানি সম্পদ অধিদপ্তর থেকে আসা পানি অনুসন্ধানকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির।
শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নর সাগরতীরর্তী রুহিতা গ্রামের রুহিতা প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
পানি সম্পদ অধিদপ্তর থেকে আসা হাইড্রোজিওলজিস্ট প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফুয়াদ জানান, গত তিনদিন ধরে তারা মাটির নিচের একহাজার ফুট পাইপ প্রবেশ করিয়ে নিরাপদ পানির অনুসন্ধান চালাই। কাজের শেষ পর্যায়ে হঠাৎ করে শুক্রবার জুমার নামাজের পর ভূগর্ভস্থ গ্যাসের চাপে পাইপ বসানোর স্থানে বিস্ফোরণ ঘটে। গ্যাসের চাপে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ফিট ওপরে মাটি উঠে যাচ্ছে। পাথরঘাটায় গত তিন বছর ধরে এ গবেষণা চলছে। এর আগে কখনও এমন পরিস্থিতির শিকার হননি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান জানান, ঘটনার পর থেকে এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মাটির কম্পন তৈরির পাশাপাশি এলাকায় বিভিন্ন পুকুর থেকেও বুদ বুদ করে গ্যাস বের হচ্ছে। এতে এলাকা জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পাথরঘাটা স্টেশন ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার সিদ্দিকুর রহমান জানান, ঘটনার পর থেকেই আমরা এখানে অবস্থান করছি। লোকজনকে নিরাপদ সরে যেতে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পাথরঘাটা অফিসের সহকারী প্রকৌশলী দোলা মল্লিক জানান, পাথরঘাটায় গভীর নলকূপ বসানো যায় না। তারপরও কেন তারা এ কাজ করেছে জানা নেই।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা টি এম শাহ আলম ঘটনাস্থল পরির্দশন করে জানান, ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং নামক একটি প্রতিষ্ঠান থেকে টিউবওয়েল বসানো হচ্ছে বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সরোয়ার হোসেন আমাকে জানিয়েছেন।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ জানান, লেয়ার গ্যাসের বিস্ফোরণের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। স্থানীয় জনগণকে দেয়াশলাই বা দাজ্য পদার্থ নিয়ে সেখানে চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।