৭ থেকে ১০ নভেম্বর দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হলো মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় ফ্যাশন ইভেন্ট মিডল ইস্ট ফ্যাশন উইক। বাংলাদেশের ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে এতে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তরুণ রূপবিশেষজ্ঞ ফারনাজ আলম।
মিডল ইস্ট ফ্যাশন উইকের প্রথম দিনে ‘সল বাই ইরেনা সোপরানো’ আর ‘কম দ্য স্টারস’-এর শোতে উপস্থিত ছিলেন ফারনাজ। দ্বিতীয় দিন ছিল অ্যারোনিক আতেলিয়রের বহুল প্রতীক্ষিত শো। বিয়ের পোশাক ও এক্সক্লুসিভ পার্টি ড্রেসের জন্য তিনি বিখ্যাত। তৃতীয় দিনেও ছিল বড় চমক। ফারনাজ এদিন উপভোগ করেন দুবাইভিত্তিক ফিলিপিনো ফ্যাশন ডিজাইনার মাইকেল সিনকোর শো। সিনকোর অনন্য সব গাউন বলিউডের ঐশ্বরিয়া রায়, দীপিকা পাড়ুকোন বা হলিউডের অ্যান হ্যাথওয়ের মতো তারকাদের পছন্দের তালিকায় থাকে। এ বছরের কান চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁর পোশাক পরেই লালগালিচায় হেঁটেছিলেন ঐশ্বরিয়া রায়। চতুর্থ অর্থাৎ শেষ দিনে ফারনাজ উপস্থিত ছিলেন খান বোগদের শোতে। তাঁর ক্যাশমেয়ার কালেকশনের জন্য যিনি পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ ডিজাইনারের পুরস্কার।
দ্বিতীয়বারের মতো এই ফ্যাশন উৎসবে অংশ নিয়েছেন ফারনাজ আলম। প্রথমবার ফারনাজ আলম অংশ নিয়েছিলেন মার্চে অনুষ্ঠিত মিডল ইস্ট ফ্যাশন উইক অটাম-উইন্টার কালেকশনে। এবার ২০২৩ সালের জন্য মিডল ইস্ট স্প্রিং-সামার কালেকশনে আমন্ত্রিত হলেন। ফারনাজ আলমের প্রিয় ডিজাইনার মাইকেল সিনকো। সামনাসামনি তাঁর সংগ্রহ দেখাটাই এই ফ্যাশন উৎসবের সবচেয়ে বড় অর্জন ফারনাজের কাছে। বললেন, ‘মিডল ইস্ট ফ্যাশন উইকের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাশন উৎসবে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ থেকে আমন্ত্রিত ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে যোগ দিতে পেরে আমি খুবই উচ্ছ্বসিত।’
ফারনাজ প্রথম দিন পরেছিলেন বিখ্যাত ফ্রেঞ্চ ফ্যাশন হাউস বালমেঁ ব্রাউন লেদার ড্রেস। দ্বিতীয় দিনে পরেন কালো জাম্পসুট। এটি ছিল ইতালিয়ান ব্র্যান্ড মোশিনোর। তবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে বাংলাদেশকে ভুলে যাননি। তৃতীয় দিনে তিনি পরেন ফ্যাশন ডিজাইনার নাবিলার ডিজাইন করা জামদানি কোট। কাপড়টি নিয়ে রীতিমতো আলোচনা হয়েছে সেখানে। এই জামদানি কোট দেখে ওখানকার একাধিক ডিজাইনার বাংলাদেশে এসে কাপড়টি নিয়ে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন।
মিডল ইস্ট ফ্যাশন উইকের প্রধান প্রতিপাদ্য হচ্ছে টেকসই ফ্যাশন। সম্ভাবনাময় বাজারের কারণে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে এখন বিশ্বের নামকরা সব ব্র্যান্ড ও ডিজাইনারেরা কাজ করছেন। অন্যদিকে এই অঞ্চলের ফ্যাশন ডিজাইনাররাও উঠে আসছেন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম অর্জন করছেন। ভ্যালেরিতা আসাদ, সোফি লাম-ভিরি, বিলিয়নেস প্রমুখ ডিজাইনাররা দুবাইকেন্দ্রিক কাজ করছেন, আর তা আলাদা করে সমাদর কুড়াচ্ছে ফ্যাশন বিশ্বে। এই ডিজাইনাররাও এখানে অংশ নেন।
সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত প্যারিস ফ্যাশন উইকেও বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন ফারনাজ আলম। সেখানেও ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবেই আমন্ত্রিত হয়েছিলেন তিনি।