বগুড়ার বাজারে উঠেছে নতুন আলু। নবান্ন উপলক্ষে আগামজাতের এই আলু বাজারে উঠেছে। অল্প পরিমান বাজারে আলু দেখা গেলেও দাম হাঁকা হচ্ছে আকাশ ছোঁয়া। শুক্রবার বগুড়া শহরের ফতেহ আলী, রাজাবাজারে নতুন আলু বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকা কেজি। আর নতুন ছোট আলু বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকা কেজি।
জানা যায়, বগুড়া জেলায় প্রচুর পরিমানে আলু চাষ হয়ে থাকে। বগুড়ার চাষিরা বেশি দামের আশায় আগামজাতের আলুর চাষ করে থাকে। এই আলু বাজারে আগাম হিসেবেই বিক্রি হয়ে থাকে। মূল আলুর চাষবাদ কেবল শুরু হয়েছে। আগামজাতের আলু চাষ করে বাজারে বিক্রি হয়ে থাকে। মূলত নবান্ন উপলক্ষে এই আগামজাতের আলু বিক্রি হয়ে থাকে। নবান্নে নতুন সবজি হিসেবে আলুর চাহিদা সৃষ্টি হয়ে থাকে। সে কারণে আলু বিক্রেতারা সুযোগ পেয়ে আলুর প্রতি কেজি বিক্রি করছেন ৩০০ টাকা দরে। শিবগঞ্জের উথলি বাজারে নবান্ন উৎসবের মেলাতেও ৩০০ টাকা কেজি নতুন আলু বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার নবান্ন উৎসবে হিন্দু সম্প্রদায়ের নতুন ফলমূল নতুন শাকসবজি মাছ দিয়ে তারা এই নবান্ন উৎসব পালন করে থাকে। যে কারণে বগুড়ায় আলুর দাম গেছে আকাশ ছোঁয়া।শিবগঞ্জের নবান্নের বাজার করতে আসা মাখন চন্দ্র দেব জানান, ধর্মীয় আচার অনুযায়ী পঞ্জিকা মতে ১লা অগ্রহায়ণ নবান্ন উৎসব পালন হয়ে থাকে। এদিন নতুন শাকসবজি নতুন ফলমূল সবকিছু দিয়ে এ অনুষ্ঠান করতে হয়। দাম যত বেশি হোক আর কম হোক শাকসবজি কিনতে হয়। নতুন আলু কিনেছি ৩০০ টাকা কেজিতে।
বগুড়া শহরের ফতেহ আলী বাজারে আলু বিক্রেতা হযরত আলী জানান, নবান্ন উপলক্ষে নতুন আলুর দাম বেড়েছে। নবান্ন শেষ হলে আলুর দামও কমে যাবে। স্থানীয় চাষিরা বেশি দাম পেতে নবান্নে আলু বিক্রি করে থাকে। নতুন এই আলু আগামজাত হিসেবে বিক্রি হয়ে থাকে।