বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোনো কারণে যদি আমদানি পণ্যের মজুদ ও সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় সেটা মোকাবেলার জন্য সচিবদের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। গত ২৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সচিবদের বৈঠকের পর ২৪ দফা লিখিত নির্দেশনার মধ্যে যেকোনো সংকটের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়।
মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এটা কোনো রাজনৈতিক বিষয় না। কোনো কারণে সাপ্লাই চেইন বন্ধ হয়ে গেলে এক মাস, দুই মাস, সেটার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সচিব কমিটির বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিদায়ি মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি যে সচিব সভা হয়েছে তারই একটি ফলোআপ বৈঠক হয়েছে আজ। আমাদের সচিবদের কাছ থেকে ব্যয় সংকোচন, যেমন এন্টারটেইনমেন্ট কেমন কমল, বিদ্যুতে কেমন কমল, তারপর পেট্রলে কতটা কমছে, তার একটি পর্যালোচনা করেছি। জুন থেকে এ পর্যন্ত বিদ্যুতে প্রায় ৪৮ শতাংশ পর্যন্ত ব্যয় কমানো সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তো প্রায় ৬০ শতাংশের বেশি কমে এসেছে। আর জ্বালানি খাতেও ৪০ শতাংশ ব্যয় কমেছে। বৈঠকে তা তুলে ধরা হয়েছে। সবাই তা চর্চা করছেন। এটিই আমাদের কাছে সবচেয়ে আদর্শ বলে মনে হয়েছে। ’
মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, খাদ্যের মজুদ আগামী জুন পর্যন্ত যে প্রক্ষেপণ দেখানো যাবে, তাতে সব রকম কাজ করেও মজুদে কোনো ঘাটতি হবে না। ফলে আসন্ন রমজান পর্যন্ত দেশে কোনো খাদ্য সংকট হবে না বলে জানান তিনি।