মানুষের মস্তিষ্কে চিপ ব্যবহার করতে চান ইলন মাস্ক। আর এর মাধ্যমে তিনি জন্ম দিলেন আরও এক বির্তকের। আগামী ৬ মাসের মধ্যে টেসলা প্রতিষ্ঠাতার পরিকল্পনায় রয়েছে মানুষের মস্তিষ্কে চিপ ট্রায়ালের। মাস্কের মতে, এই ব্রেইন চিপের মাধ্যমে আগামী দিনে উপকৃত হবে পৃথিবী। দৃষ্টিহীন সব মানুষও দেখতে পারবে এই চিপ ব্যবহার করার মাধ্যমে। এর পাশাপাশি বিশেষভাবে সক্ষমরাও এই ব্রেইন চিপের মাধ্যমে উপকৃত হবেন। হিউম্যান ট্রায়ালে যারা জন্ম থেকেই অন্ধ, তারা এই চিপের সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার পাশাপাশি দৃষ্টিহীনদের সাহায্যে প্রথমবার এ ডিভাইসটি ব্যবহার করা হবে। ব্রেইন চিপের মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করছে মাস্কের নিউরোলিংক। বেশ কয়েক বছর ধরেই বানরের ওপর চালানো হয়েছিল এই ব্রেইন চিপের ট্রায়াল। এই প্রযুক্তির চমক দেখাতে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। সেখানে দেখা গেছে, ভিডিও গেম খেলছে বানর! তবে এই পরীক্ষায় বেশ কয়েকটি বানরের মৃত্যুর খবরও উঠে এসেছিল গণমাধ্যমে। মাস্কের অন্যতম একটি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান বা স্টার্টআপ এই নিউরোলিংক। ২০১৬ সালে তা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। এই প্রতিষ্ঠান মূলত কাজ করে মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে চিপ সংযুক্ত করা নিয়ে। এটি এমন একটি মডিউল যা মাথার বাইরে কানের পাশে লাগানো থাকবে। এ প্রযুক্তিটিতে রয়েছে এন১ চিপ। তা বসানো থাকবে মস্তিষ্কের ভেতরে। সেখান থেকে বাইরে ডেটা পাঠাবে। এ ছাড়া তিনটি চিপ মস্তিষ্কের মোটর অঞ্চলে এবং একটি সোমাটোসেন্সর এরিয়ায় রোপণ করতে চান এ প্রযুক্তিটির উদ্ভাবকরা।
তারবিহীন এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষ কী ভাবছে, তা তুলে আনতে সক্ষম হবে কম্পিউটার। তবে মানুষের ওপর এই ট্রায়াল চালানোর অনুমতি পাননি ইলন মাস্ক। যুক্তরাজ্যের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এফডিএ) অনুমোদন দিলে দ্রুত স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে ট্রায়াল শুরু করতে পারেন স্পেস এক্সের প্রতিষ্ঠাতা মাস্ক। স্নায়বিক রোগের চিকিৎসার বাইরে মাস্কের লক্ষ্য হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যাতে মানুষকে ছাড়িয়ে যেতে না পারে, তা নিশ্চিত করা। নিউরোলিংক ছাড়াও মস্তিষ্কে প্রযুক্তি বসাতে কাজ করছে সিনক্রন নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান। গত জুলাইয়ে সিনক্রন দাবি করে, যুক্তরাষ্ট্রে তারা প্রথম মস্তিষ্কে ব্রেইন মেশিন ইন্টারফেস বসিয়েছে।