আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যাদের হাতে ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর ও ২১ আগস্টের রক্তের দাগ, তারা কোনোভাবেই রাষ্ট্র মেরামত করতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহিলা লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে ও অপু উকিলের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছিলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করলে কীভাবে দেশ মেরামত করা হবে, তার রূপরেখা অচিরেই প্রকাশ করা হবে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বক্তব্যের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির এক নেতা বলেছেন, “রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা তৈরি করছেন, ঘোষণা দেবেন।”—এটা বিএনপি তৈরি করবে? যাদের হাতে ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর ও ২১ আগস্টের রক্তের দাগ, তারা করবে রাষ্ট্র মেরামত?’
কাদের আরও কিছু বিষয়ে প্রশ্ন রেখে বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মুক্তি দিতে যারা আমাদের সংবিধান সংশোধন করেছে। পাঁচবার যারা দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছে, তারা করবে রাষ্ট্র মেরামত? যারা আমাদের দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, যারা দণ্ডিত হয়েছে, তারা করবে রাষ্ট্র মেরামত?
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, মুচলেকা দিয়ে যিনি লন্ডনে চলে গেছেন, তিনি হবেন আপনাদের নেতা? ১০ ডিসেম্বরের পর নাকি খালেদা জিয়া দেশ চালাবেন, কোথায় গেল সেই অহংকার। বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের দম্ভ চুর্ণ-বিচুর্ণ করে দিয়েছে।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পান না’ উল্লেখ করে কাদের বলেন, এত ঝুঁকিপূর্ণ জীবন ৭৫-এর পরে আর কোনো রাজনীতিকের জীবনে হয়নি। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার অপরাধ- নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু, ১০০ সেতু এক দিনে উদ্বোধন। তিনি ১০০ রাস্তা এক দিনে উদ্বোধন করবেন। মেট্রোরেল উদ্বোধন হবে, চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল হয়েছে। উন্নয়নের নেত্রী শেখ হাসিনা। এ কারণে বড় জ্বালা, বিএনপির অন্তর্জ্বালা। কেন এগুলো হলো, তিনি কেন এগুলো করলেন।