অবেশেষে দেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক জাদুঘর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ‘শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা’ থেকে অপসারণ করা হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যায় জড়িত আত্মস্বীকৃত ও আদালতের রায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই খুনির নাম। ‘বীরপ্রতীক’ হিসেবে লে. কর্নেল এএম রাশেদ চৌধুরী ও নায়েব সুবেদার মোসলেম উদ্দিন খানের নাম ও পরিচয় এই জাদুঘরের ডিসপ্লে বোর্ডে লেখা ছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান উল ইসলাম, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে সংগ্রশালায় ছুটে যান। সেখানে তারা দাঁড়িয়ে থেকে বীরপ্রতীকদের ডিসপ্লে বোর্ড থেকে নাম দুটি অপসারণ করান।advertisement 4
রাজশাহীর বীরমুক্তিযোদ্ধা তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের দেড় বছর পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের কাজ চরম ধৃষ্টতার শামিল। এটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে অবমানননা। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।’
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নাম জাদুঘরে প্রদর্শনের মতো একটি স্পর্শকাতর বিষয় গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করায় আমাদের সময়কে ধন্যবাদ জানিয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান উল ইসলাম বলেন, ‘এই ডিসপ্লে বোর্ডগুলো বসানো হয়েছিল ২০১৮ সালের শেষ দিকে আগের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের আমলে। পরে আর সেগুলো খতিয়ে দেখা হয়নি। এজন্য আমরাও লজ্জিত। তবে বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আলোচিত নাম দুটি বোর্ড থেকে অপসারণ করে দিয়েছি। যারা এ কাজটি করেছিলেন, তারা ঠিক করেননি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক বলেন, ‘বিষয়টি ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। কারা কী উদ্দেশ্যে ঘৃণ্য এই ব্যক্তিদের নাম বীরপ্রতীকের তালিকায় রেখেছিল তা তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’