মহাবিশ্বের গভীরে লুকিয়ে থাকা একটি আল্ট্রামাসিভ ব্ল্যাকহোল (কৃষ্ণগহ্বর) খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা অনুমান করেছেন যে, এই ব্ল্যাকহোলটি সূর্যের চেয়েও ৩০ বিলিয়ন গুণ বড়।
বিজ্ঞানীদের দাবি, এটি এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় কৃষ্ণগহ্বরগুলোর মধ্যে একটি হতে পারে। যা কয়েক মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে মহাবিশ্বের গভীরতায় লুকিয়ে আছে।
রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির পিয়ার-রিভিউ জার্নাল মান্থলি নোটিস-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এসব বলেছেন।
যুক্তরাজ্যের ডারহাম ইউনিভার্সিটির পদার্থবিদ্যা বিভাগের একজন গবেষক জেমস নাইটিংগেল বিবিসি রেডিও নিউক্যাসেলকে বলেন, ‘একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী হিসেবেও এই জিনিসটি কতটা বড় তা বোঝা আমার পক্ষে কঠিন।’
এই কৃষ্ণগহ্বরটি এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় গর্তগুলোর মধ্যে একটি হতে পারে। কারণ, পদার্থবিদরা মনে করেন কৃষ্ণগহ্বর এর চেয়ে বেশি বড় হতে পারে না।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘এটি বিশেষ ব্ল্যাকহোল, যা আমাদের সূর্যের ভরের প্রায় ৩০ বিলিয়ন গুণ বড়, এটি এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় এবং আমরা বিশ্বাস করি যে কৃষ্ণগহ্বর তাত্ত্বিকভাবে কতটা বড় হতে পারে তার ঊর্ধ্বসীমার এটি অবস্থান করবে, তাই এটি একটি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ আবিষ্কার।’
একটি কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোল হলো মহাকাশের এমন একটি স্থান যেখানে মধ্যাকর্ষণ বল এতটাই শক্তিশালী যে, সেখান থেকে কোনো কিছুই বের হতে পারে না। এমনকি আলোর মতো তড়িৎ-চৌম্বকীয় বিকিরণও এই প্রচণ্ড আকর্ষণ বল ভেদ করে বের হয়ে আসতে পারে না।
নাইটিংগেল বলেছেন, ‘আমরা যে সব বড় কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে জানি তার বেশিরভাগই একটি সক্রিয় অবস্থায় আছে, যেখানে কৃষ্ণগহ্বরের কাছে টেনে নেওয়া বস্তু উত্তপ্ত হয় এবং আলো, এক্স-রে এবং অন্যান্য বিকিরণের আকারে শক্তি প্রকাশ করে।’ সূত্র: ইনসাইডার