বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (এডি) এবিএম জহুরুল হুদা বলেছেন, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। করোনা মহামারিতে এ ধরনের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ব্যবসায়িক ক্ষতি উত্তরণে ‘অ্যাকসেস টু ফাইন্যান্স’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার ব্র্যাক দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্যোগে ‘নারীবান্ধব সিএমএসএমই অর্থায়ন’ শীর্ষক নীতিবিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সিএমএসএমই খাতে অর্থায়নের সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রি-ফাইন্যান্স পাওয়া যাবে উল্লেখ করে জহুরুল হুদা বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ৫ শতাংশ সুদহার থেকেও ১ শতাংশ কম নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। প্রতিটি ব্যাংকের শাখাকে আওতাধীন এলাকায় অন্তত তিনজন নারী উদ্যোক্তা বের করে তাঁদের সক্ষমতা বাড়িয়ে ফাইন্যান্স করতে হবে। সব ব্যাংককে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে আগ্রহী হতে হবে।
সভায় কক্সবাজার ওমেন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি জাহানারা ইসলাম বলেন, নারী উদ্যোক্তা তৈরি করতে গেলে আগে নারী নেটওয়ার্ক বাড়াতে হবে। নারীদের জন্য আলাদাভাবে কোনো শিল্প গড়ে তোলা যায় কিনা, তা নিয়ে চিন্তা করার সময় এসেছে।
ব্র্যাক দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির সহযোগী পরিচালক তাসমিয়া তাবাসসুম রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক জাবেদ হাসান সাগর, কক্সবাজার সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাসান মাসুদ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মুক্তির প্রধান নির্বাহী বিমল চন্দ্র দে সরকার, পালস বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী সাইফুল ইসলাম কলিম, ব্র্যাকের পরামর্শক মুজাহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক মাহফুজ আলী, ব্র্যাকের কক্সবাজার জেলা সমন্বয়কারী অজিত নন্দীসহ বেশ কয়েকজন নারী উদ্যোক্তা।
ব্র্যাকের তথ্যমতে, তাঁদের কাছ থেকে ১৫ হাজার উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তাঁরা এখন বিউটি পার্লার, টেইলারিং, স্যালুন, মোবাইল ফোন সার্ভিসিং সেন্টারসহ বিভিন্ন ব্যবসা পরিচালনা করছেন।