সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে বহুল চর্চিত রুচির দুর্ভিক্ষ কাটাতে বড় পদক্ষেপ নিলেন হিরো আলম। তিনি জানিয়েছেন, নিজের জন্য বাসায় একজন শিক্ষক রেখেছেন। তার কাছে পড়াশোনা শিখছেন। নিজের কথায় আঞ্চলিকতার যে টান এসে যায়, সেটি উতরানোর চেষ্টা করছেন হিরো আলম।
হিরো আলমের কথায়, ‘আমার বাড়ি উত্তরাঞ্চলের বগুড়া জেলা হওয়ায় ভাষায় আঞ্চলিকতার টান চলেই আসে। সেটি পরিবর্তন করার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে। তাছাড়া আমার কিছু উচ্চারণে সমস্যা আছে, সবাই বলে হিরো আলম সবকিছু পরিবর্তন করতে পারে। এটিও পারবে। সে জন্য নিজেকে আমি পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি। দেখি কতদূর পরিবর্তন হতে পারি। আমার কথা নিয়ে যেহেতু মানুষের এত প্রবলেম, সেটাই আগে ঠিক করব।’তিনি বলেন, ‘অনেকে পরামর্শ দিয়েছেন আমি পড়ালেখা শিখি, সুশিক্ষিত হই। সেই পরামর্শকে গুরুত্ব দিয়ে অফিসে শিক্ষক রেখে একটু একটু করে শেখার চেষ্টা করছি। অনেকে আমাকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদালয়ে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সেটি তো আর আমার পক্ষে সম্ভব না। কারণ আমি নানা কাজে ব্যস্ত থাকি। আমাকে পরিবার চালানোর জন্য আয় করতে হয়।’
হিরো আলম আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমার কিছু দুর্বলতা আছে। সেগুলো পরিবর্তন করলে আর কোনো সমস্যা হবে না। আমাকে নিয়ে কেউ আর কথা বলতে পারবে না। কেউ রুচির দুর্ভিক্ষে পড়বে না। রুচির দুর্ভিক্ষ কাটাতে লেখাপড়ার দিকে মনোযোগ দিয়েছি।’ যদিও যে শিক্ষকের কাছে হিরো আলম পড়াশোনা শিখছেন, তার পরিচয় দিতে চান না তিনি। তার কথা, ‘শিক্ষকের পরিচয় এখন দিতে চাই না। সময় আসলে আমি বলে দেব। এখন আপাতত বলতে চাচ্ছি না।’