বর্তমানে অতি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত দেশসমূহ ব্যতীত বিশেষ শর্তসাপেক্ষে শনিবার (১ মে) থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক ফ্লাইটসমূহ বিশেষ শর্তে পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বেবিচক এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে কভিড-১৯ সংক্রমণের হার বিবেচনায় ৩৮টি দেশে গমনাগমনের ওপর বিশেষ শর্ত আরোপ করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পক্ষ হতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটসমূহ চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে এয়ার বাবল ফ্লাইটসমূহ স্থগিত রাখা হয়েছে এবং অতি ঝুঁকিপুর্ণ দেশসমূহের সঙ্গে সাময়িক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ঝুকিপূর্ণ দেশসমূহ হতে আগত যাত্রীদের ১৪ দিনের ‘প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, তালিকাবহির্ভূত দেশসমূহ থেকে আগত যাত্রীদের পিসিআর নেগেটিভ সনদ আনা সাপেক্ষে ১৪ দিন ‘হোম কোয়ারেন্টিন’ কঠোরভাবে পালনের জন্য বলা হয়েছে। ব্যতিক্রম হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের তিনটি দেশ (কাতার, বাহরাইন ও কুয়েত) ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে চলমান তিন দিনের প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করবেন। পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বাকি ১১ দিন হোম কোয়ারেন্টিন অথবা আইসোলেশন থাকার জন্য বিবেচিত হবেন।
এই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আটকে পরা অভিবাসী যাত্রীরা নিজ নিজ গন্তব্য বা কর্মস্থলে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন- উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্যবিধি ও অন্যান্য শর্তসমূহ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন ও নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
১২ অতি ঝুঁকিপূর্ণ দেশে থেকে এলে যা করণীয়:
আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, সাইপ্রাস, জর্জিয়া, ভারত, ইরান, মঙ্গোলিয়া, ওমান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও তিউনিসিয়া থেকে কেবল বাংলাদেশি প্রবাসী বা নাগরিকেরা আসতে পারবেন। তবে এর জন্য দূতাবাসের বিশেষ অনুমতি নিতে হবে।
২৬ দেশ থেকে এলে যে নির্দেশনা:
অস্ট্রিয়া, আজারবাইজান, বাহরাইন, বেলজিয়াম, চিলি, ক্রোয়েশিয়া, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, ইরাক, কুয়েত, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, নেদারল্যান্ডস, প্যারাগুয়ে, পেরু, কাতার, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক ও উরুগুয়ে থেকে যেকেউ বাংলাদেশে আসতে ও যেতে পারবেন। তবে বাংলাদেশে এলে ১৪ দিনে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন মানতে হবে। আর কাতার, বাহরাইন ও কুয়েত থেকে বাংলাদেশে আসা ব্যক্তিদের প্রথমে তিন দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এরপর করোনা পরীক্ষা শেষে ১১ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।