বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ যে কমেনি, তার একাধিক প্রমাণ ইতিমধ্যে মিলেছে। তিনি বলেছেন, ডাব্লিউএইচওর ভাগ করা ছয়টি অঞ্চলের মধ্যে পাঁচটি অঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ ছাড়া গত দুই সপ্তাহে আফ্রিকায় মৃত্যুহার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়েছে।
এখনো সংক্রমণ না কমার চারটি প্রধান কারণের কথা জানাচ্ছেন সৌম্যা স্বামীনাথন। কারণগুলো হলো অতিসংক্রমাক ডেল্টা ধরনের আধিপত্য, সামাজিক মেলামেশা বেড়ে যাওয়া, লকডাউনের বিধি-নিষেধ শিথিল করে দেওয়া এবং টিকাদানের ধীরগতি।
সৌম্যার কথায়, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে করোনার ডেল্টা ধরন। যেভাবে একাধিক দেশে এটি ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে চিন্তায় পড়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। সৌম্যা বলেন, ‘আগে একজন আক্রান্ত আরো তিনজনকে আক্রান্ত করার ক্ষমতা রাখত। কিন্তু ডেল্টা সংক্রমিত একজন আরো আটজনকে আক্রান্ত করতে সক্ষম।’ এই পরিস্থিতিতে তিনি সব দেশকে বিধি-নিষেধ বজায় রাখতে এবং দ্রুত টিকাদানের পরামর্শ দিয়েছেন।
৭০% মানুষের টিকা নিশ্চিত করল ইইউ : ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য ২৭ দেশকে তাদের ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে পর্যাপ্ত টিকা সরবরাহ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন এ কথা বলেন। তাঁর ভাষায়, ইইউ তার কথা রেখেছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে দেশগুলো এখন এসব প্রতিষেধক প্রয়োগের কাজ সম্পন্ন করবে।
চলমান মহামারি মোকাবেলা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিভিন্ন কম্পানির টিকা কিনে সদস্যদের সরবরাহ করেছে। এর মধ্যে ফাইজার-বায়োএনটেকের প্রতিষেধক আছে ৩৩ কোটি ডোজ, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ কোটি, মডার্নার পাঁচ কোটি এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা আছে দুই কোটি ডোজ। এর মধ্যে জনসন শুধু এক ডোজের প্রতিষেধক। বাকিগুলো দুই ডোজ করে নিতে হয়।
টিকা না নিলে পাকিস্তানে বিমান ভ্রমণ নয় : সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কায় পাকিস্তান আকাশপথে নতুন বিধি-নিষেধ দিয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, যেসব ব্যক্তি এখনো কভিডের টিকা গ্রহণ করেনি, তারা বিমান ভ্রমণ করতে পারবে না। করোনার ডেল্টা ধরনকে ঠেকাতে আগামী ১ আগস্ট থেকে এই বিধি-নিষেধ কার্যকর হতে যাচ্ছে এশিয়ার দেশটিতে।
শ্রীলঙ্কায় দুই মাস পর কড়াকড়ি শিথিল : প্রায় দুই মাস পর শ্রীলঙ্কায় বিধি-নিষেধ শিথিল করা হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অর্ধেক আসনে থিয়েটার, সিনেমা হল ও জাদুঘর পরিচালনা করা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল ও রেস্তোরাঁও চালানো যাবে। তা ছাড়া সর্বোচ্চ ৫০ জনের উপস্থিতিতে সভা-সেমিনার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে। সূত্র : এএফপি, এপি।