ফিনল্যান্ডে বারো থেকে পনেরো বছর বয়সী শিশুদের কভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে টিকা দেওয়া শুরু করেছে। দেশটির আইনা অনুযায়ী আঠারো বছরের কম বাচ্চাদের যেকোনো বিষয়ে বাবা-মার অনুমতি নেওয়ার নিয়ম থাকলেও করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে বাবা-মার কোনো অনুমতির প্রয়োজন হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয় ফিনল্যান্ডের সরকার।
সোমবার (৯ জুলাই) ফিনল্যান্ডে বারো থেকে পনেরো বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ফিনল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শিশুদের ক্ষেত্রে ফাইজার এবং মডার্নার ভ্যাকসিন দুটি ব্যবহার করা হবে, যা বারো বছরের বেশি বয়সীদের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়।
টিকা প্রদান কার্যক্রম সরাসরি স্কুলগুলোতে হতে পারে। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, শিশুরা নিজেরাই তাদের বাবা-মার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন নিতে পছন্দ করবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘একজন নাবালক নিজেই টিকা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে শর্ত থাকে যে, নাবালকের বয়স এবং তার বিকাশের স্তরের বিষয়টি বিবেচনা করবেন একজন ভ্যাকসিন প্রদানকারী স্বাস্থ্যকর্মী, তার টিকা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সার্বিক সক্ষমতা রয়েছে কিনা’। এখন পর্যন্ত, এই ধরনের তরুণ ফিন্সের জন্য ফাইজার এবং বায়োনটেকের ভ্যাকসিনগুলো শুধুমাত্র তখনই সুপারিশ করা হয়েছে যখন ব্যক্তিটি ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর অন্তর্গত বলে পরিগণিত হবে।
ফিনল্যান্ডে করোনাভাইরাসের সংক্রামণ ক্রমবর্ধমান এবং ১ আগস্টের শেষ সপ্তাহে সংক্রামণ ৫০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানায় দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্ক্যান্ডিনেভিয়ার অপর দুই দেশ নরওয়ে এবং সুইডেনের করোনা পরিস্থিতিও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। নরওয়ের রাজধানী অসলোতে বর্তমানে সংক্রামণ বৃদ্ধির হার ৬৫.৯ শতাংশ যা গত সপ্তাহের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।
ফিনল্যান্ডের মতো সুইডেনও নাবালক জনগোষ্ঠীকে টিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে কয়েকটি জেলায় রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। রাজধানী স্টকহোমে ২০০৫ এবং তার আগে জন্ম নেওয়া শিশুদের কভিড-১ এর বিরুদ্ধে টিকা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করার আহবান জানানো হয়েছে। এছাড়াও সুইডেনের বেশ কয়েকটি অঞ্চলেও গত সপ্তাহে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের জন্য খোলা রাখা হয়েছে।