হার্ট অ্যাটাক। ঘুম কেড়ে নেওয়ার জন্য এই শব্দ দুটিই যথেষ্ট। কারণ, বিশ্বে প্রতিদিন হার্ট অ্যাটাকে অকাল মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বুকের বাঁ দিকে হালকা ব্যথা, কাঁধ, ঘাড়, সারা শরীরে ব্যথা এবং অস্বস্তি-এমন উপসর্গ হতে হতেই হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে। এছাড়া যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা রক্তে শর্করা মাত্রা বেশি বা যাদের স্থুলতার সমস্যা রয়েছে, তাদের এমনিতেই হৃদরোগের আশঙ্কা তুলনামূলক বেশি থাকে।
হার্ট অ্যাটাক যে কোনো বয়সে, যে কোনো সময় হতে পারে। অনেকে মনে করেন ছেলেদের হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বেশি। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রেও ঝুঁকি থাকে। তবে হৃদযন্ত্রে কোনো রকম জটিলতা তৈরি হলে, তা আগাম জানান দেয় শরীর। লক্ষণগুলো কেমন হতে পারে জেনে রাখুন।
শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট
শ্বাস-প্রশ্বাসে যদি কষ্ট হয়, তা হলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে। শ্বাস নিতে কষ্ট হলে, দম আটকে আসলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। হৃদযন্ত্রের কোনো রকম সমস্যা হলে ফুসফুসও অক্সিজেন কম পায়। তাই এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
কারণ ছাড়াই ঘাম
যদি কখনো বুঝতে পারেন কোনো কারণ ছাড়াই ঘাম হচ্ছে কিংবা একটুতেই হাঁপিয়ে যাচ্ছেন, তা হলেও দুশ্চিন্তা করার মতো অবশ্যই কারণ আছে। শরীরে রক্ত চলাচল ঠিকঠাক না হলে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিক করে অক্সিজেন পায় না। তখন অনেকেই হাঁপিয়ে ওঠেন। এ সময় যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
হঠাৎ শরীর দুর্বল
হঠাৎ করে যখন আপনার শরীর দুর্বল হয়ে যায়, তার কারণ হল ধমনী আরো সংকীর্ণ হওয়ায় রক্তসংবহন সঠিকভাবে অনুমতি দিচ্ছে না। আপনার পেশীর যা প্রয়োজন তা পাচ্ছে না এবং এমনটা হলে আপনার বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক।
মাঝরাতে অতিরিক্ত ঘাম ও মাথা ঘোরা
যদি মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে দেখেন দরদর করে ঘামছেন, তা হলে উপেক্ষা করবেন না। বুকে ব্যথা বা চাপ লাগার মতো অনুভূতি হলে অবশ্যই চিকিৎসককে জানান। আর মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ সীমাবদ্ধতার কারণে মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা উপেক্ষা করা উচিত নয়।
মেয়েদের ক্ষেত্রে লক্ষণ
মেয়েদের ক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ আলাদা। বুকে ব্যথা, ঘাম হওয়া বা হাঁপিয়ে যাওয়া ছাড়াও পেটে অস্বস্তি, পিঠে ব্যথার মতো কিছু অন্যান্য লক্ষণও দেখা দিতে পারে। তাই আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ যদি এসব উপসর্গসমূহের সম্মুখীন হোন, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।