৬ দিনের ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেন সফলভাবে শেষ করলেও নতুন করে টিকা প্রাপ্তির ওপর নির্ভর করবে গণটিকা। তবে টিকাদানে শতভাগ সক্ষমতা রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন দেয়ার সক্ষমতা যে আমাদের রয়েছে সেটা প্রমাণিত হয়েছে। একদিনে আমরা সর্বোচ্চ ২৪ লাখ ভ্যাকসিন দিয়েছি। এখন ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা সাপেক্ষে আগামী দিনের কর্মসূচী চলবে। তিনি বলেন, ভারতের কাছে আমাদের দুই কোটি ৩০ লাখ টিকা পাওনা আছে। তাদেরও আমরা টিকার জন্য তাগাদা দিচ্ছি। ভারত সামান্য একটু ইঙ্গিত দিয়েছিল আগস্ট মাসে তারা টিকা দেয়া শুরু করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে টিকা পাওয়ার সিডিউল পাইনি।
রবিবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ান এ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) অডিটরিয়ামে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রী বলেন, যদি আমাদের হাতে অনেক পরিমাণ ভ্যাকসিন চলে আসে তাহলে শহরে এবং গ্রামে দুই জায়গাতেই ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলমান থাকবে। যদি আমাদের হাতে ভ্যাকসিনের পরিমাণ কম থাকে তাহলে আমাদের কার্যক্রম সেভাবেই পরিকল্পনা করতে হবে। সবকিছু নির্ভর করে আমাদের ভ্যাকসিনের মজুদের ওপর। আবার যখন বেশি পরিমাণে ভ্যাকসিন পাব, তখন গ্রাম পর্যায় আবারও ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হবে। বর্তমানে যেভাবে টিকার কার্যক্রম চলছে সেভাবেই চলবে।
ভ্যাকসিন ক্রয় কার্যক্রম শুধু একটি দেশকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন কেনার ক্ষেত্রে আমাদের বিশেষ কোন পছন্দ নেই। যাদের কাছ থেকে আমরা ভ্যাকসিন পাচ্ছি, তাদের কাছ থেকেই নিচ্ছি। চীন আমাদের ভ্যাকসিন দিতে পারছে বলেই আমরা তাদের কাছ থেকে ভ্যাকসিন নিচ্ছি। রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের চুক্তি সম্পাদন হয়েছে, এখন আমরা অপেক্ষায় আছি তারা কবে টিকা দেবে। কোভ্যাক্সের সঙ্গেও আমাদের সাত কোটি টিকার চুক্তি রয়েছে। তারাও আমাদের টিকা দিচ্ছে, আমরা সেই টিকাও গ্রহণ করছি।
এ সময় মন্ত্রী লকডাউনের বিষয়ে বলেন, জাতীয় পরামর্শক কমিটি তো সবসময় ভাল পরামর্শই দেয়। পরামর্শক কমিটি বলছে এই লকডাউন আরও কিছুদিন চললে ভাল হতো। কিন্তু সরকারকে সব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়। যেহেতু সব খুলে দেয়া হচ্ছে, তাই আমাদের মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ এবিএম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএমএ সভাপতি ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। আরও বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আলী নুর, বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ ইকবাল আর্সলান ও মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ এম এ আজিজ প্রমুখ।