ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি ও দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ভ্যালেরি জালুঝনির মধ্যে বিরোধের কারণে কিয়েভের সামরিক প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
খবর অনুসারে, বাইডেন প্রশাসন চায়, ইউক্রেন ২০২৪ সালে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পরিকল্পনা ‘তীক্ষ্ণ’ করুক। কিন্তু ওয়াশিংটন উদ্বিগ্ন, জেলেনস্কি এবং জালুঝনির মধ্যে ‘মতপার্থক্য’ একটি নতুন কৌশল স্বচ্ছ করার প্রচেষ্টাকে বিলম্বিত করছে।ব্লুমবার্গের একজন প্রতিবেদকের মতে, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই কিয়েভের পরিকল্পনা স্পষ্টভাবে বুঝতে হবে। আগামী বছরে ইউক্রেনকে রক্ষা করতে ওয়াশিংটনের সহায়তা কীভাবে সর্বোত্তমভাবে একত্রিত করবে সেটা ঠিক করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক বৈঠকের ফাঁকে জেলেনস্কির কাছে বিষয়টি উত্থাপন করতে পারেন।
এই সপ্তাহের শুরুতে ডব্লিউইএফ সভাপতি বোর্জ ব্রেন্ডে ঘোষণা করেছন যে, ইউক্রেনের নেতা জেলেনস্কি আগামী ১৫ থেকে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠেয় হাই-প্রোফাইল অনুষ্ঠানটিতে যোগ দেবেন।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, নভেম্বরে জেলেনস্কি ও জালুঝনির মধ্যে ‘উত্তেজনা’ দেখা দেয়। ওই সময় জেনারেল জালুঝনি দ্য ইকোনমিস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতিকে অচলাবস্থা হিসেবে বর্ণনা করায় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ক্ষুব্ধ হন। পরে জালুঝনি তার মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেন। তবে ব্লুমবার্গ বলছে, ‘নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধ’ সত্ত্বেও চাপ রয়ে গেছে।