কেউ তাকে ডাকেন সুহাসিনী, কেউবা কল্পনা। যে যে নামেই ডাকুক না কেন, তিনি প্রতিটি কাজে স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। যার কথা বলছি তিনি আর কেউ নন, তানজিম সাইয়ারা তটিনি। হালের ছোট পর্দার অন্যতম জনপ্রিয় এ অভিনেত্রীর মিডিয়ায় পথচলা শুরু বিজ্ঞাপনের মডেল হয়ে। গত বছর তার বেশ কয়েকটি নাটক আলোচিত হয়েছে। অভিনয়ের পাশাপাশি সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছেন পড়াশোনা। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বিবিএর শিক্ষার্থী তিনি। বাকি আছে শুধু ফাইনাল ইয়ারের লাস্ট সেমিস্টার। তাই তো একটু রিফ্রেস হতে বন্ধুদের নিয়ে সম্প্রতি নেপাল ঘুরে এলেন। মুঠোফোনে এমনটাই জানালেন তটিনি। বললেন, এটা ছিল বন্ধুদের সঙ্গে লাস্ট ট্রিপ। কারণ সামনে ফাইনাল সেমিস্টার। এরপর বন্ধুদের কেউ কেউ বিদেশে চলে যাবে, কেউ হয়তো ইন্টার্নশিপ করবে। তাই বন্ধুরা মিলে নেপাল ট্যুরে গিয়েছিলাম।
নাটক ও পড়ালেখার সমন্বয়
‘আসলে ফাইনাল ইয়ারের লাস্ট সেমিস্টারটা বাকি রয়েছে। কাজের ব্যস্ততার কারণে আমাকে গ্যাপ দিতে হয়েছে। আসলে পড়াশোনা ও কাজ একসঙ্গে দুটো ব্যালেন্স করা ডিফিকাল্ট হয়ে যায়। কাজে এত টাইম দিতে হয় যে, সে কারণে পড়াশোনার জন্য সময় বের করা কঠিন। তাই শিগগিরই একটা ব্রেক নিয়ে লাস্ট সেমিস্টারটা শেষ করে ফেলব। এভাবেই নাটক ও পড়ালেখার সমন্বয় করে চলছি।’
কমফোর্ট জোন
‘নাটক বা বিজ্ঞাপন- আমি দুই জায়গাতেই কাজ করতে কমফোর্টেবল। তবে কাজের ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু ভিন্নতা রয়েছে। বিজ্ঞাপনের মডেল হওয়া বা অভিনয় করা দুটিই এনজয় করি। সেক্ষেত্রে দুটোই আমার কমফোর্ট জোন।’
ভালোবেসে দর্শকদের নামকরণ
কেউ কেউ তাকে সুহাসিনী বা কল্পনার মতো আলাদা নামে ডাকে। বিষয়টি খুব এনজয় করেন তটিনি। বললেন, ‘অবশ্যই দর্শকদের এ ভালোবাসা প্রচণ্ডভাবে এনজয় করি। আমরা যে কাজগুলোই করি না কেন, দিন শেষে লক্ষ্য বা আশা থাকে যেন অডিয়েন্স কাজটি পজিটিভলি নেয় এবং তা পছন্দ করে। এটা ভালোবাসা, ভালো কাজের প্রাপ্তি। এটা সত্যিই খুব এনজয় করি।’
অভিনেতাদের সঙ্গে ক্যামেস্ট্রি
‘ওরকম পারসোনাল ফেবারেট বলতে কেউ নেই। সবার সঙ্গে কাজ করতেই ভালো লাগে। তবে এক্ষেত্রে একটা কথা হচ্ছে এক্সপেরিয়েন্স ম্যাটার করে। যারা সিনিয়র হয়তো তাদের থেকে আমি একটু বেশিই শিখতে পারি। তারাও গাইড করেন। সেজন্য আমি সবসময়ই বলি অপূর্ব ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করা আমার জন্য লার্নিং প্রসেস। উনার সঙ্গে কাজ করলে অনেক কিছু শেখা যায়।’
সিনিয়রদের সঙ্গে তুলনা
দেখা যায় কেউ কেউ তটিনির সঙ্গে সিনিয়রদের তুলনা করে বসেন। এমনও দেখা যায় দর্শকরা ভালোবেসে নিজেদের মতো সমীকরণ করেন। কেউ বলেন, তার অভিনয় ওমুকের মতো, কেউবা বলেন, তমুকের মতো। কিন্তু এ ধরনের মন্তব্যে গা না ভাসিয়ে তটিনি বিষয়টিকে পজিটিভলি গ্রহণ করে ভবিষ্যতের পাথেয় হিসেবে ধারণ করেন। এমনটাই জানালেন তিনি। বললেন, ‘অনেস্টলি এখনো ওই ক্যালিবার বা ওই এক্সপেরিয়েন্সটা হয়নি যে আমাকে তাদের সঙ্গে কম্পেয়ার করবে। তারা অনেক সিনিয়র। তারপরও অডিয়েন্সদের তুলনা করার বিষয়টি খুব পজিটিভলি নিই, কারণ আমার মধ্যে হয়তো তারা এমন সম্ভাবনা দেখছে, সে জন্যই তাদের মতো বড় অভিনেত্রীদের সঙ্গে কম্পেয়ার করে।’
প্রেম করিনি এমনটা বলব না
নাটকে প্রায়ই রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে। ব্যক্তিগত জীবনে তার কোনো রোমান্টিক মানুষ আছে কি না এ নিয়ে ভক্তদেরও কৌতূহল রয়েছে অনেক। সেই কৌতূহল মেটাতে জানতে চাইলাম এ প্রসঙ্গে। বললেন, ‘আমি মোটেও প্রেম করিনি এমনটা বলব না। মানুষ মাত্রই প্রেমে পড়ে। তবে এখন কাজের এত ব্যস্ততা যে এ মুহূর্তে ওরকম কেউ আমার লাইফে নেই। আরেকটা বিষয়, আমি কখনোই কাজের জায়গায় ব্যক্তিগত লাইফকে টেনে আনতে চাই না।’